ইতিহাসের ধারনা ( অধ্যায় ১ )
MCQ :-
1> পৃথিবীর কোথায় প্রথম নাট্যচর্চার উদ্ভব ঘটেছিল ?
উত্তরঃ গ্রিসে
২> কবে ভারতে চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়ে ছিল ?
উত্তরঃ ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে
৩> কার আমলে ভারতে রেলপথ সম্প্রসারিত হয়েছিল ?
উত্তরঃ লর্ড ডালহোউসির আমলে
৪> ভারতের পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি আন্দোলনের নাম কি ?
উত্তরঃ চিপকো আন্দোলন
৫> ভারতের বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ হলেন –
উত্তরঃ প্রফুল্লচন্দ্র রায়
৬>ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক গ্রন্থ হলো –
উত্তরঃ রাজতরঙ্গিণী
৭>হিন্দুমেলা কে প্রতিষ্ঠা করেন ?
উত্তরঃ নবগোপাল মিত্র
৮> ভারতে কবে থেকে বন সংরক্ষণ আইন চালু হয় ?
উত্তরঃ ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে
৯> “একাত্তরের ডায়রি”-র রচিয়তা কে ?
উত্তরঃ সুফিয়া কামাল
সত্য/মিথ্যা :-
প্রশ্ন | উত্তর |
‘নবান্ন’ নাটকের বিষয়বস্তু ছিল বাংলার মন্বন্তর । | সত্য |
‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’ রচনা করেন কালী প্রসন্ন সিংহ | সত্য |
‘ সুবর্ণরেখা’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক ঋত্বিক ঘটক | সত্য |
সরকারি প্রতিবেদন গুলি সংরক্ষিত হয় লেখাগারে | সত্য |
বসু বিজ্ঞান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন জগদীশচন্দ্র বসু | সত্য |
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃ পোশাকের বিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে এমন কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
মলয় রায়ের ‘বাঙালীর বেশবাস, বিবর্তনের রূপরেখা’, কার্ল কোহলারের ‘পোশাকের ইতিহাস’, এম্মা টারলোর ‘ক্লোথিং ম্যাটারস্ ড্রেস অ্যান্ড আইডেনটিটি ইন ইন্ডিয়া’ প্রভৃতি।
প্রশ্নঃ বাংলার নাট্যচর্চার ইতিহাস বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।
ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস’, সত্যজীবন মুখোপাধ্যায়ের ‘দৃশ্যকাব্য পরিচয়’, আশুতোষ ভট্টাচার্যের ‘বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাস’ বালদুন ধিংড়ার ‘এ ন্যাশনাল থিয়েটার ফর ইন্ডিয়া’।
প্রশ্নঃ চলচ্চিত্রের ইতিহাসচর্চা বিষয়ক কয়েকটি গ্রন্থের নাম লেখো।ও
ঋত্বিককুমার ঘটকের ‘চলচ্চিত্র, মানুষ এবং আরও কিছু’; সত্যজিৎ রায়ের ‘একেই বলে শুটিং’; তপন সিংহের ‘চলচ্চিত্র আজীবন’, ফারনাহা মিলির ‘সিনেমা এলো কেমন করো; ফ্রান্সেসকো ক্যাসেটির ‘থিওরিস অব সিনেমা’।
প্রশ্নঃ ভারত ইতিহাসে ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা কাদের?
ভারত ইতিহাসে ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে বিদেশি ফটোগ্রাফারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডঃ জন মুরে, টাইটলার দম্পতি। তাঁরা মহাবিদ্রোহের ছবি তোলার জন্য আসেন। ভারতীয় ফটোগ্রাফারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিদ্যা দেহেজিয়া, কবিতা সিং, গীতা কাপুর প্রমুখ।
প্রশ্নঃ ‘সত্তর বৎসর’ কার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ? এর থেকে কী জানতে পারি?
‘সত্তর বৎসর’ আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটি রাজনীতিবিদ বিপ্লবী বিপিনচন্দ্র পাল কর্তৃক রচিত। ‘প্রবাসী’ পত্রিকায় এ নিয়ে ধারাবাহিকভাবে তিনি লিখেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁর রচনা গ্রন্থ আকারে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি থেকে লেখকের জন্মস্থান শ্রীহট্ট জেলার পৈল গ্রাম, বংশ পরিচয়, বাল্যকাল সম্বন্ধে বিশদে জানা যায়। এছাড়া তৎকালীন কলকাতা শহরের সমাজ, ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান প্রভৃতিও জানা যায়।
প্রশ্নঃ দু’টি পরিবেশগত আন্দোলনের নাম লেখো।
দু’টি পরিবেশগত আন্দোলনের নাম হলো চিপকো আন্দোলন, নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন।
খেলার ইতিহাস নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন এমন দুই ভারতীয়ের নামলেখো।
• খেলার ইতিহাস নিয়ে মৌলিক গবেষণা করেছেন এমন দুই ভারতীয় হলেন বোরিয়া মজুমদার, আশিস নন্দী |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘জীবনস্মৃতি’ থেকে আমরা কীজানতে পারি?
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থ থেকে আমরা তৎকালীন রাজনৈতিক ঘটনাবলির বিশদ বিবরণ পাই না। বরং এই সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঠাকুরবাড়ির সদস্যদের অংশগ্রহণ, দাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা, স্বদেশি যুগে শিক্ষা ব্যবস্থা, কারখানা প্রতিষ্ঠায় যুবকদের উদ্যোগ, হিন্দুমেলা সম্বন্ধে বিশদে জানা যায়।
‘জীবনের ঝরাপাতা’ কার রচনা? এই গ্রন্থ থেকে আমরা কী জানতে পারি?ও
‘জীবনের ঝরাপাতা’ সরলাদেবী চৌধুরানি রচিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ থেকে তৎকালীন ভারতীয় কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণির প্রতি ব্রিটিশ শাসকদের অন্যায়, অত্যাচার, ছাত্র-যুবক শ্রেণির বিপ্লবী কর্মধারা, ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি, বাংলার সমাজজীবন সম্বন্ধে বিশদে জানা যায়। সরলাদেবী ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যোগসূত্র। এই ঐতিহাসিক তথ্যটি তাঁর গ্রন্থ থেকে জানা যায়।
বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্নো
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার উপাদান হিসেবে সরকারি নথিপত্রের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।
আধুনিক ভারতের ইতিহাস চর্চার অন্যান্য উপাদানের মতোই সরকারি নথিপত্রেরগুরুত্ব কোনো অংশে কম নয়। ঐতিহাসিকদের কাছে সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক আধুনিক ভারতের অধিকাংশ সরকারি নথিপত্র, দস্তাবেজ ইংরেজি ভাষায় লিখিত।”
> ইতিহাসচর্চার উপাদান হিসেবে ভূমিকা: সরকারি নথিপত্রকে মূলত চারভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন- সরকারি আধিকারিক বা আমলাদের প্রতিবেদন, পুলিশ ও গোয়েন্দা রিপোর্ট, বিভিন্ন সরকারি বিবরণ ও চিঠিপত্র। সরকারি আধিকারিকরা বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে একাধিক চিঠিপত্র ও নোট লেখেন। এসব পরবর্তীকালে সরকারি মহাফেজখানা বা সংরক্ষণাগারে রাখা হয়, এগুলি থেকে তৎকালীন সময়ের সরকারি কাজকর্মের ধারণা পাওয়া গবেষকদের কাছে সহজ হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা রিপোর্টে বা প্রতিবেদনে দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতা অথবা অস্থিরতার বিবরণ মেলে।
প্রশ্ন-বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাসচর্চার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে সংক্ষেপে টীকা লেখো।
Ans আধুনিক ইতিহাসচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা হলো বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার ইতিহাস। বিজ্ঞানের বিকাশের সঙ্গে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান, প্রযুক্তি আবিষ্কার ও তার অগ্রগতি এই ইতিহাসচর্চার মূল উপাদান।বিজ্ঞানীরা প্রকৃতি ও মানবশারীরতত্ত্ব সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা ও তার ব্যাখ্যা নির্ধারণ করার ফলেই জ্ঞানের উন্মোচন হয়েছে। এই বিজ্ঞানচর্চাই হলো এই ইতিহাস আলোচনার মুখ্য বিষয়। ইউরোপ ছিল অষ্টাদশ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তি, শারীরজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতির অন্যতম পীঠস্থান। নবজাগরণের পরবর্তী সময়ে এই বিষয়গুলির কতখানি উন্নতি হয়েছিল তা এই ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে জানা যায়।এই ইতিহাসচর্চার অন্য একটি আলোচনার বিষয় হলো বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার মানবসমাজের উপর প্রভাব। মানবসভ্যতার অগ্রগতির একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল আগুন ও চাকার আবিষ্কার। যত দিন গেছে মানুষ কীভাবে তার বিদ্যাবুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে নানা ধরনের যন্ত্রপাতি, অস্ত্রশস্ত্র, যানবাহন প্রভৃতির আবিষ্কার ও উন্নতি করে মানবসভ্যতাকে যন্ত্রসভ্যতায় উত্তরণ ঘটিয়েছে-এই ব্যাখ্যা করাও এই ইতিহাসের বৈশিষ্ট্য। ইতিহাসচর্চার মাধ্যমে যেমন বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতি ব্যাখ্যা করা যায় তেমনই যে কোনো প্রকার ইতিহাসচর্চার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আজ একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
প্রশ্ন => আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চায় প্রয়োজনীয় উপাদান সম্বন্ধে লেখো।
Ans =>আধুনিক ভারতের ইতিহাসচর্চার জন্য নানা ধরনের উপাদানের সমাবেশ দেখা যায়। এগুলি হলো-• সরকারি নথিপত্র: সরকারি নথিপত্রগুলি হলো-(ক) বিভিন্ন রকম সরকারি প্রতিবেদন। (খ) বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীর রিপোর্ট।( গ) বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীর ব্যক্তিগত বিবরণ।(ঘ) বিভিন্ন কমিশনের রিপোর্টসমূহ।• আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা: বর্তমান ইতিহাসচর্চায় বিভিন্ন ব্যক্তির বিভিন্ন
Leave a Reply